Thursday, March 17, 2022

বেতাগীতে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ।

বরগুনার বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে আবদুল খালেক।পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন মুদী ব্যবসায়ী, ব্যক্তি হিসেবে ছিলেন যথেষ্ট ধার্মিক। তবে হঠাৎ টিভি দেখা নিয়ে নিজের সন্তানদের সাথে তর্ক হয় তার, যে ঘটনার প্রেক্ষিতে করেন আত্মহত্যা এমনটাই নিশ্চিত করেন নিহত আবদুল খালেকের স্ত্রী কোহিনূর বেগম(৪০) । বুধবার গভীররাতে (৩টায়) ওই ব্যবসায়ীর নিজ বাড়ির বাগানের একটি গাছ থেকে  ঝুলন্তবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেন বেতাগী থানা পুলিশ। উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের খাঁনেরহাট বাজারের প্বার্শবর্তি হাওলাদার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, যথেষ্ট সৎ ও ধার্মিক ব্যাক্তি ছিলেন নিহত ব্যবসায়ী আবদুল খালেক। পড়তেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ  উপজেলার খাঁনেরহাট বাজারে ছোট্ট মোদী দোকান ছিলো তার। দোকানের সন্নিকটে  দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে আবদুল খালেক ও স্ত্রী কোহিনূর দম্পতির বসবাস করতেন। নিহত আবদুল খালেক বিয়ের পর থেকেই শশুড় বাড়ীতে থাকতেন। বৈবাহিক কারনে দুই মেয়ে থাকতেন শশুড় বাড়ি। দুইছেলেকে নিয়েই চলছিলো পরিবার। তবে নিজে ধার্মিক হওয়ায় বারবার ছেলেদের বাসায় টিভি চালাতে নিষেধ করতো কিন্তু বুধবার বিকেলে দুইছেলে সাইদুল ও পারভেজের সাথে টিভি দেখা নিয়ে প্রচন্ড তর্ক হয়। যা ওই পরিবারসহ বাড়ির লোকজনও নিশ্চিত করেন।

স্বজনার আরো জানান, তর্ক করেই বিকেল ৫টার দিকে বাসা থেকে বের হন আবদুল খালেক । সন্ধ্যায় খোঁজ নিয়ে দেখেন দোকানও খোলেননি তিনি। পরে স্বজনরা খুঁজতে থাকে। একপর্যায় রাত হয়ে গেলে বাড়ির লোকজন এবং এলাকাবাসীও খুঁজতে থাকে খালেককে।  রাত দেড়টার দিকে ওই এলাকার বাসিন্দা কালাম সিকদার প্রথম ঘরের পেছনের একটি গাছের সাথে  আবদুল খালেকের মরদেহ দড়িতে ঝুলতে দেখেন এবং চিৎকার দিলে সবাই এসে দেখে।  পরে বেতাগী থানায় জানানো হলে রাত ৩টায় বেতাগী থানার পুলিশ গিয়ে ব্যবসায়ী আবদুল খালেকের দড়িতে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন।
বেতাগী থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) আবদুস সালাম বলেন, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে আবদুল খালেকের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

বেতাগী থানার ওসি মো.শাহআলম বলেন,’এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃত্যু কারন জানতে তদন্ত চলছে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: