মোঃসিরাজুল হক রাজু,
অল্প পুজিতে পতিত জমিতে বিভিন্ন জাতের কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ায় বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কুল চাষ। ইতোমধ্যে গৌরনদী উপজেলার একাধিক ইউনিয়নে কুল চাষের খবর পাওয়া গেছে।উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে চাষীরা অনাবাদি জমিতে বিভিন্ন জাতের কুল চাষ করেছেন। বর্তমানে প্রতিটি বাগানের গাছ কুলে পরিপূর্ন হয়ে উঠেছে।খাঞ্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও হজ্ব এজেন্সীর মালিক ইউসুফ হাওলাদার বলেন, মহামারী করোনায় এজেন্সীর ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। এরপর গ্রামে এসে তিনি কৃষি কাজ শুরু করেন। গত সাত মাস পূর্বে দুই একর অনাবাদি জমিতে ৮২০টি বল সুন্দরী জাতের কুল চারা রোপন করেছেন। বর্তমানে তার বাগানের প্রতিটি গাছ কুলে পরিপূর্ন। এরইমধ্যে গাছের অর্ধেক কুল প্রতি কেজি ৫০ টাকা পাইকারী মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।উপজেলার মাহিলাড়া গ্রামের কৃষক ফারুক ফকির বলেন, পূর্ব মাহিলাড়া এলাকায় বিলের মধ্যে ৫০ শতক অনাবাদি জমি লিজ নিয়ে এক লাখ টাকা ব্যয় করে গত বছর থেকে তিনি কুল চাষ শুরু করেছেন। এবছর তার বিভিন্ন প্রজাতের সাড়ে চারশ’ গাছে ফলন ধরেছে। বাগান থেকে ৬০ মন কুল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। বাগানে এখনো প্রচুর পরিমাণ কুল রয়েছে। সব মিলিয়ে কুল চাষ করে তিনি এখন স্বাবলম্বী। একই গ্রামের কৃষক নাজমুল সরদারের বিভিন্ন প্রজাতির পাঁচ শতাধিক কুল গাছে গত বছরের চেয়ে এবছর ব্যাপক পরিমান ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি অফিস থেকে সঠিক পরামর্শ নিয়ে কুল চাষ করায় এসব কৃষকরা এখন স্বাবলম্বী।
এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মামুনুর রহমান বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার পর কৃষি মন্ত্রণালয় পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গৌরনদীর অনাবাদী জমিগুলো চাষের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের চাষাবাদে উদ্বুদ্ধকরন ও পরামর্শ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে কৃষক পতিত জমিতে কুল, লেবু ও মাল্টাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
0 coment rios: