Wednesday, January 19, 2022

নীলফামারী মাঘের শীতে কাঁপছে

মাঘের কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা নীলফামারীর মানুষ। তাপমাত্রা কমতে শুরু করা, ঘন কুয়াশা ও বাতাসের বেগ বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েকদিন থেকে শীতের তীব্রতায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত।


শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুয়ের জীবনযাত্রা। চরমে উঠেছে শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগে। শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে বয়স্ক ও শিশুরা।


তাপমাত্রা কমতে শুরু করা ও বাতাসের গতি বাড়ায় শীতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। শীতবস্ত্র অভাবে চরম দুর্ভেগে পড়েছে ছিন্নমূল, দরিদ্র আর নিম্ন আয়ের মানুষ। হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে পেটের তাগিদে কর্মের সন্ধানে বের হচ্ছেন শ্রমজীবীরা। শীতের দাপটে কাজে যেতে না পারায় কমে গেছে তাদের আয় রোজগার।

এদিকে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

জেলার ৬টি হাসপাতালে আউটডোর আর ইনডোরে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। উষ্ণতার পরশ নেওয়ার চেষ্টায় সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে করছেন শীত নিবারণের চেষ্টা। ছিন্নমূল মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছে স্টেশনের বারান্দায়, টার্মিনালে।


সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে শুয়ে থাকা ছিন্নমূল মানুষ সোহরাব, হাবিব, রুজিনা জানান, একটি কম্বলে শীত নিবারণ হচ্ছে না, কয়েকটি মোটা কাপড় জড়িয়ে আছে তারা, তাওে শীত যাচ্ছে না।

টার্মিনাল এলাকার পরিবহন শ্রমিক মজিবর, মজনু, তবারক জানান, ভোরবেলায় উঠে আসতে  তীব্র ঠান্ডা লেগেছে, পেটের তাগিদে রোজগারের আশায় আসতে হয়েছে। কয়েকটি গরম কাপড় পড়ার পরও শীত মানছে না।

রিকশা, ভ্যান ও অটোচালক হাসিম, বেলাল ও মকসুদ বলেন, সকালে উঠে গাড়ি চলাতে ইচ্ছা করে না। উপায় নাই, কামাই না করলে সংসার চলবে কী দিয়ে?


নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে আউটডোর ও ইনডোরে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিনশ’ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললেন নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুর রহিম।

নীলফামারীতে গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়েসের মধ্যে ওঠানামা করছে। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়েস। কুয়াসার ঘনত্ব এত বেশি যে আকাশ দেখা যাচ্ছে না। বাতাস বইছে প্রতিঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে। বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া কর্মকর্তা জানান, শীতের প্রকোপ খুব একটা কমবে না। আগামী ২/৩ দিন তাপমাত্রা কিছুটা ওঠানামা করতে পারে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: