Friday, January 21, 2022

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে কমেছে চাষাবাদ

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ কৃষিতে খরচ বাড়ায় বরেন্দ্র এলাকায় এবার বোরো মৌসুমে অন্তত ২০ ভাগ কম জমিতে ধান চাষাবাদ হচ্ছে।


কৃষকরা বলছেন, বাড়তি খরচের বোঝা আর অসামঞ্জস্য বাজার ব্যবস্থায় ধান চাষাবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা।

এ অবস্থায় কম খরচে অধিক লাভ পাওয়া যায় এমন ফসল চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

পৌষের প্রথম সপ্তাহে নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার মাঠে ধান রোপণে ব্যস্ততা বাড়ে। কিন্তু এবার পাল্টে গেছে সেই চিত্র। পৌষ পেরিয়ে মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহে বিস্তীর্ণ মাঠ ফাঁকা। জ্বালানি তেলসহ কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এ অঞ্চলের কৃষকের মধ্যে। তাই বোরো আবাদের ভরা মৌসুমেও অনেক কৃষক মাঠমুখী না হয়ে লাভ লোকসানের অঙ্ক কষছেন এখনো।

জমি প্রস্তুত করে ধান রোপণে নামা কৃষকেরা ফসলের কাঙ্ক্ষিত দর পাওয়া নিয়ে আছেন শঙ্কায়।



কৃষকরা বলছেন, ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই ধান লাগানো হয়ে যেত। অথচ বাড়তি খরচের কারণে অনেকেই ধান লাগাচ্ছে না। ডিজেলের দাম বাড়তি হওয়ায় ধান লাগানো যাচ্ছে না।

চলতি মৌসুমে জেলার মাঠে জমিতে গভীর নলকূপে সেচ নির্ধারণ করা হয়েছে বিঘা প্রতি ১২শ’ থেকে বাড়িয়ে ১৫শ’ টাকা। আর ব্যক্তিপর্যায়ে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনে সাড়ে তিন হাজার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে।

বাড়তি দরের সঙ্গে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি জনপ্রতিনিধিদের। আর কম খরচের ফসল চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।


নওগাঁর ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী রাম প্রসাদ ভদ্র বলেন, সরকারের উচিত কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাইয়ে দেওয়া। আর যদি ন্যায্য দাম তারা না পায় ভবিষ্যতে বোরো আবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এখানকার কৃষকরা।  

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সামসুল ওয়াদুদ বলেন, আমরা কৃষকদের বলি আপনারা প্রয়োজনীয় পরিমাণ ধান আবাদ করে বাকিটুকু অন্যান্য ফসল যদি আবাদ করতে পারি তাহলে বেশি লাভ হবে।  

জেলার ১১ উপজেলায় ৪ হাজার ৩০০ গভীর নলকূপ এবং ডিজেলচালিত ৮৪ হাজার শ্যালো মেশিনে চলছে বোরো আবাদে সেচ কাজ।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: