Wednesday, January 26, 2022

এবার বিশ্ব রেকর্ডে রাণীর পর চারু

ঢাকার আশুলিয়ায় রাণীর পর এবার বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে চারু। বুধবার আশুলিয়ার চারিগ্রাম এলাকায় শেকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সুফিয়ান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর শেকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ গিনেস বুকে ইমেইলের মাধ্যমে আবেদন করা হয়।


খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাজী সুফিয়ান বলেন, রাণীর মৃত্যুর পর গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ শোক প্রকাশ করে আমাদের ইমেইল পাঠান। তারা বলেন- রাণীর সম্মানার্থে পৃথিবীর সবচেয়ে জীবিত ছোট গরু হিসেবে আরও একটা ক্যাটাগরি তারা চালু করবেন এবং আমাদের কাছে কিছু থাকলে এতে অংশগ্রহণ করতে পারি।

তিনি বলেন, যারা শিকড় এগ্রো সম্পর্কে জানেন- তারা নিশ্চয়ই জানেন আমাদের সুদক্ষ এবং নির্ভরশীল কর্মীবাহিনী প্রতিদিনই দেশের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ান। রানীর জীবদ্দশায়ই আমাদের সংগ্রহশালায় নতুন চমক যোগ হয় ৪ দাঁতের প্রাপ্তবয়স্ক দেশীয় প্রজাতির বামন গরু চারু। যার উচ্চতা সাড়ে ২৩ ইঞ্চি, লম্বা ২৭ ইঞ্চি ও ওজন ৩৯ কেজি। যাকে বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে জীবিত ছোট গরু হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ স্বীকৃতি দিয়েছে। মঙ্গলবার গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ আমাদের মেইলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

চারুর দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা খামারের কর্মচারী মামুন বলেন, আমাদের শিকড় এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ খামারে অনেক রকমের পশু-পাখি পালন করি। রাণী মারা যাওয়ার পর প্রায় ছয় মাস আগে চারুকে আমরা সিলেট থেকে সংগ্রহ করেছি। যেভাবে রাণীকে সংগ্রহ করা হয়েছে সেভাবেই চারুকে আনা হয়েছে। এরপর থেকে এই খামারে রাণীকে প্রাকৃতিক খোলামেলা পরিবেশে পালন করছি। আগে যেহেতু আগে আমাদের রাণী মারা গেছে তাই চারুর প্রতি একটু বেশি যত্ন নেই। স্যাররা এখানে আসার পর ওর নাম চারু দিয়েছে। গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী একাধিকবার চারুর মাপের ছবি এবং ভিডিও পাঠানো হয়েছে। শিকড় এগ্রোর পশু চিকিৎসক প্রতি দুসপ্তাহ পরপর চারুকে দেখতে আসেন এবং চারুর ওজন, শরীর চকচকে আছে কি না, গঠন বাড়ছে কি না এসব দেখেন।


প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর গিনেস বুকে মৃত গরু হিসেবে রেকর্ড গড়া রাণীর উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি, লম্বা ২৪ ইঞ্চি ও ওজন ২৬ কেজি। গত ১৯ অগাস্ট দুই বছর বয়সে অসুস্থ হয়ে মারা যায় খর্বাকৃতির গরু রাণী।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: