এরপর সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। বিশেষ করে তা মা রাশিদা বেগম এবং বাবা আব্দুর রাজ্জাক ও ভাই তরিকুল ইসলাম মরদেহ দেখে বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন।
নিহতের হাদিসুরের চাচা ও বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান জানান, এখন হাদিসুরের মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হাদিসুরের মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়। লাশ গ্রহণ করেন হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর ১টার দিকে মরদেহ নিয়ে হাদিসুরের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন তার স্বজনরা।
৩ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে হাদিসুর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। বাবা আব্দুর রাজ্জাক অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক, মা রাশিদা বেগম গৃহিণী। বড় বোন সানজিদা আক্তার পেশায় নার্স। ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স ঢাকায় লেখাপড়া করেন। মেঝো ভাই তরিকুল ইসলাম থাকেন পটুয়াখালীতে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় গত ২ মার্চ জাহাজটি রকেট হামলার শিকার হয়। ওই হামলায় প্রাণ হারায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান।
0 coment rios: