Saturday, March 19, 2022

বরিশালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর নাম বাঙ্গিয়ে খাওয়া লম্পট গ্রেফতার।


মোঃসিরাজুল হক রাজু 
স্টাফ রিপোর্টার।


পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের নাম ভাঙিয়ে হজে পাঠানোর কথা বলে টাকা দাবির ঘটনায় এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম খান আবি আব্দুল্লাহ টুকু। তিনি বরিশাল নগরীর কালিবাড়ি রোড এলাকার আবু সালেহ ধলু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় যুবায়ের আব্দুল্লাহ, কাউনিয়া থানায় আসিফ মাহামুদ হিমু, বন্দর থানায় মীর বাহাদুর হোসেন এবং এয়ারপোর্ট থানায় সালমান রাশেদ বাদী হয়ে চারটি পৃথক মামলা করেছেন।
যুবায়েরের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই নূর ইসলাম গৌরনদী থেকে টুকুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এসআই নূর ইসলাম বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারকের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। এরপর গৌরনদী পুলিশের সহযোগিতায় শুক্রবার দুপুরে গৌরনদী উপজেলা বাজারে অভিযান চালিয়ে টুকুকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে থানায় নিয়ে ‍এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে টুকু স্বীকার করেছে মোবাইলফোনের মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম ‍এমপির নাম ভাঙিয়ে তিনি বিভিন্ন জায়গায় টাকা চেয়েছেন। যুবায়েরের দায়েরকৃত মামলায় টুকুকে আসামি করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।গত ৩ মার্চ নগরীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগমের ব্যবহৃত মোবাইলফোনে কল দিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে কিছু সংখ্যক লোককে সরকারিভাবে হজে পাঠানোর জন্য বাছাই করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তাতে খাদিজার নামও রয়েছে বলে জানান টুকু। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য প্রতারক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম পরিচয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলান।প্রতিমন্ত্রী পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি খাদিজার কাছে ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করার জন্য বলে। এরপর ৩ মার্চ বিকাল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে বরিশাল সার্কিট হাউসে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। সেখানে সরকারিভাবে হজে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়। ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবাইকে ৬০ হাজার টাকার একটি চেক দেওয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব টাকা পাঠানোর তাগিদ দেয় প্রতারক চক্র।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য খাদিজা প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী শফিকুল ইসলাম পিন্টুর ব্যবহৃত মোবাইলফোনে কল দেন। তখন পিন্টু তাকে জানান, এটা প্রতারক চক্রের কাজ। এরপর বরিশাল মেট্রোপলিটনের চার থানায় চারটি মামলা দায়ের হয়।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: