Thursday, March 3, 2022

অবশেষে বরিশাল বিমান বন্দরের নিরাপত্তা নিশচিত হলো।


মোঃসিরাজুল হক রাজু 
স্টাফ রিপোর্টার।

বরিশাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আটঘাট বেধে নেমেছে সিভিল এভিয়েশন। এরি মধ্যে তারা বিমানবন্দরের সীমানা ঘেষে গড়ে ওঠা দীর্ঘ ২৩ বছর পূর্বের স্থাপনা অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিমান বন্দরের উত্তর পাশের সীমানার মধ্যে থাকা বসতঘর বুধবার সরিয়ে নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে বরিশাল বিমানবন্দরে কিছুটা হলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই অরক্ষিত বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর সংলগ্নে অবস্থিত বিমানবন্দরটি। সীমানা প্রচীর না থাকায় মানুষের যত্রতত্র চলাফেরা, রানওয়েতে কুকুর দৌড়ানো এবং গরু চড়ানো হয়ে আসছিলো। এছাড়া সুগন্ধা নদী সংলগ্নে বিমানবন্দরের উত্তর পাশের জমি দখল করে বসবাস করে আসছিলেন একটি পরিবার।
সম্প্রতি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এবং বেসাময়িক বিমান মন্ত্রণালয় থেকে বরিশাল বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসে একটি টিম। ওই টিম তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন মন্ত্রণালয়ে। প্রতিবেদনে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জোর তাগিদ দেয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বিমানবন্দরের উত্তর পাশে সীমানার মধ্যে বসতঘর তুলে বসবাস করা একটি অবৈধ স্থাপনা অপসারণের কাজ শুরু করে সিভিল এভিয়েশন।
তারই অংশ হিসেবে অবৈধভাবে বসতঘর নির্মাণ রিয়াজুল ইসলাম নান্টু এবং মন্টু তালুকদার সহোদরকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু তারা দীর্ঘ দিন ধরে ওই জমি নিজেদের দাবি করে আসছিলেন। এরপরও শেষ রক্ষা করতে পারেননি তারা। বরিশাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের জোড় তৎপরতার কারণে শেষ পর্যন্ত বসতঘরের অবৈধ অংশ বিমানবন্দরের সীমানা থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন দখলদার সহোদর।জানা গেছে, ‘উত্তর পাশের ওই জমির মূল মালিক জয়নব বিবি। বিমানবন্দরের পাশে তার নামে রেকর্ডিয় প্রায় ২২ শতাংশ জমি রয়েছে। রেকর্ডিয় জমির পাশাপাশি বিমানবন্দরের উত্তর পাশে সিভিল এভিয়েশনের কিছু জমি নিজেদের দাবি করে ভোগ করে আসছিলেন তারা। জয়নব বিবির ৪ ছেলে এবং তিন মেয়ে। তাদের মধ্যে দুই ছেলে রিয়াজুল ইসলাম নান্টু এবং মন্টু তালুকদার পরিবার নিয়ে বর্তমানে ওই জমিতে বসবাস করে আসছেন।দুই সহোদরের দাবি যে জমি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি করছে সেই জমির প্রকৃত মালিক হলেন জয়নব বিবি। তবে সিভিল এভিয়েন কর্তৃপক্ষ বলেন, দীর্ঘ বছর পূর্বে ওই জমি বিমানবন্দরের জন্য একোয়ার করা হয়েছে। যে কারণে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমানার মধ্যে থাকা অংশ অপসারণ করতে বলা হয়েছে।
তারই অংশ হিসেবে বুধবার দিনব্যাপি বিমানবন্দরের মধ্যে থাকা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছেন রিয়াজ এবং মন্টু তালুকদার। এখন ওই অংশে সীমানা প্রচীর নির্মাণ করে দেয়া হবে। এই অংশটুকু ছাড়াও বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় সকল প্রান্তেই সীমানা প্রচীর নির্মাণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: